IAB

স্থাপত্যগাঁথায় স্থপতি রবিউল হুসাইন

স্থপতি রবিউল হুসাইন (৩১ জানুয়ারি ১৯৪৩ – ২৬ নভেম্বর ২০১৯) ছিলেন একাধারে একজন বাংলাদেশি স্থপতি, কবি, শিল্প-সমালোচক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সংস্কৃতিকর্মী। নানামুখী প্রতিভায় গুণী এই ব্যক্তিত্ব ২০০৯ সালে কবিতায় অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৬ সালে স্থাপত্যে অসামান্য অবদানের জন্য বাস্থই কর্তৃক স্বর্ণপদক এবং ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন। তিনি বাস্থই-এর সভাপতি হিসেবে ৪ বার, আর্কিটেক্টস রিজিওনাল কাউন্সিল অব এশিয়া (আর্কএশিয়া)-র ভাইস-চেয়ারম্যান, কমনওয়েলথ এসোসিয়েশন অব আর্কিটেক্টস (সিএএ)-র ভাইস- প্রেসিডেন্ট এবং সাউথ এশিয়ান এসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোয়াপারেশন অব আর্কিটেক্টস এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সদস্য এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
প্রয়াত স্থপতির কাজের ধারা সম্পর্কে প্রত্যক্ষ ধারণা নেয়ার লক্ষ্যে গত ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫-এ শুক্রবার সকাল থেকে বাংলাদেশ স্থপতি ইন্‌সটিটিউট ও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের পক্ষ থেকে দিনব্যাপী স্থপতি রবিউল হুসাইনের ৩টি প্রকল্প পরিদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পরিদর্শনের জন্য (১) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক), খামারবাড়ি, (২) জল্লাদখানা, মিরপুর ১০ এবং (৩) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার নির্বাচন ও পরিদর্শন করে দিনব্যাপী কার্যকলাপের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
বাস্থই সম্পাদক (ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি) স্থপতি কাজী শামীমা শারমিন-এর সঞ্চালনায় সম্পাদিত এই পরিদর্শনে প্রায় ৩০জন বাস্থই সদস্য স্থপতি অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জাদুঘরের ট্রাস্টি জনাব মফিদুল হকও পরিদর্শনে অংশগ্রহণ করেন।
Scroll to Top